প্রকাশিত: Tue, Apr 30, 2024 12:08 AM
আপডেট: Fri, May 9, 2025 7:17 AM

[১]ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থী বিক্ষোভ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গ্রেপ্তার

সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ফিলিস্তিনপন্থী ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে তাতে অংশ নেন দেশটির আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইন। শনিবার সেন্ট লুইসে অবস্থিত জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির বিক্ষোভ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্র : আরটি

[৩] জিল স্টেইনের নির্বাচনী প্রচারণা টিমের মুখপাত্র দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমরা তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ সম্পর্কে জানি না।’ এ সময় তাকে ছাড়াও জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির আরও অন্তত ৮০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[৪] গ্রেপ্তারের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক রেকর্ডকৃত ভিডিওতে গ্রিন পার্টির এই প্রার্থী বলেন, ‘তিনি শিক্ষার্থীদের সমর্থনে এবং তাদের সাংবিধানিক অধিকার ও মুক্ত বাকস্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।’ জিল স্টেইন বলেন, ‘আমরা এখানে সেই শিক্ষার্থীদের সারিতে দাঁড়াতে যাচ্ছি যারা গণতন্ত্রের পক্ষে, মানবাধিকারের জন্য ও গণহত্যার অবসানের দাবিতে দাঁড়িয়েছে।’ 

[৬] গ্রিন পার্টির এই প্রার্থীর যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক ডেভিড শোয়াব বলেছেন, শনিবার বিকেলে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্টেইন সেখানে উপস্থিত হয়ে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ বেপরোয়া আচরণ করে। এরপরই সেখানে গ্রেপ্তার শুরু করে। 

[৭] গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দানা বাঁধে। ধীরে ধীরে তা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির স্থাপন করে অবস্থান কর্মসূচিও শুরু করেছে তারা।

[৮] বিক্ষোভের কারণে অনেক ক্যাম্পাস অশান্ত হয়ে উঠেছে। অনেক জায়গায় পুলিশ বেশ কঠোর আচরণ করেছে। আটক করা হয়েছে কয়েক শ বিক্ষোভকারীকে। এর মধ্যে বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ১০০ জনকে, ওয়াশিংটনের সেন্ট লুইস ইউনিভার্সিটি থেকে ৮০ জনকে, আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ৭২ জনকে এবং আরও ২৩ জনকে ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে আটক করা হয়েছে।

[৯] কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাসে ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে বিক্ষোভের মুখে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির হামবোল্ডট ক্যাম্পাসসহ কয়েকটি ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চলছে অনলাইন ক্লাস। 

[১০] যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ঢেউ এসে পড়েছে ইউরোপ, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও। সেখানকার শিক্ষার্থীরাও গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। 

[৪] সিএনএন জানায়, ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গত কয়েক দিন ধরে টানা বিক্ষোভ পালন করে আসছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন পুলিশ।